প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ২০, ২০২৫, ১২:৫১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ২:৪৬ এ.এম
আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ নয়, ‘অস্থায়ীভাবে স্থগিত’—তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা পুরোপুরি নিষিদ্ধ নয়, বরং কিছু ক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তিনি দাবি করেছেন, তালেবান প্রশাসন নারী শিক্ষার বিরোধী নয়। আফগান গণমাধ্যম টোলো নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে আফগানিস্তানে প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে, যার মধ্যে অন্তত ২৮ লাখ মেয়ে শিক্ষার্থী। মুত্তাকি বলেন,
“আমরা মেয়েদের শিক্ষার বিপক্ষে নই। কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, তবে শিক্ষা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ নয়।” সম্প্রতি ভারতের সফরে গেছেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আফগানিস্তানের খনিজ, স্বাস্থ্য, কৃষি ও ক্রীড়া খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া ইরানের চাবাহার বন্দরকে কার্যকরভাবে ব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা করেন মুত্তাকি। একই সঙ্গে আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে ওয়াঘা সীমান্ত পুনরায় চালুর আহ্বান জানান তিনি।
ভারত সফরকালে মুত্তাকি সফর করেন ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ-এও। সেখানে আফগানিস্তান ও দেওবন্দ মাদ্রাসার মধ্যে শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনুষ্ঠানে সীমিত সংখ্যক সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
নারী সাংবাদিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়নি।” ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তালেবান সরকার নারীদের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ করেছে বলে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা চলছে। তবে এবার তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।