বলিউডের গ্ল্যামার দুনিয়ায় তিনি যেন সময়ের নিয়ম ভেঙে চলেছেন! বয়স যে কেবলই সংখ্যা— তা একাধিকবার প্রমাণ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মালাইকা আরোরা। ৫০ পেরিয়েও তার সৌন্দর্য, স্টাইল আর ফিটনেস দেখে অনেকেই অবাক। ফ্যাশনপ্রেমী ও স্বাস্থ্যসচেতন এই অভিনেত্রী সব সময়েই আলোচনায় থাকেন তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে। দামি পোশাক, নিখুঁত সাজসজ্জা ও ফিট দেহগঠনে তিনি যেন বয়সকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চলেছেন।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে মালাইকার নতুন আইটেম গান ‘পয়জন বেবি’, যা ‘থাম্মা’ সিনেমার অংশ। গানটিতে জেসমিন স্যান্ডলাস, সচিন-জিগর ও দিব্যা কুমারের কণ্ঠে সুরের মূর্ছনা আর মালাইকার হিল্লোল তোলা নাচে মুগ্ধ দর্শকরা। দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরে নাচের ঝলক দেখিয়ে আবারও প্রমাণ করলেন, তিনি এখনও বলিউডের অপ্রতিদ্বন্দ্বী আইটেম কন্যা। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন তার বয়স। অনেকে ধারণা করছিলেন, মালাইকার বয়স ৫২— কেউ কেউ আরও বেশি বলেও মন্তব্য করেন। কিন্তু সম্প্রতি এই রহস্যের অবসান ঘটিয়েছেন তার বোন অমৃতা আরোরা। গত বৃহস্পতিবার ছিল মালাইকার জন্মদিন। পরিবার ও পুত্র আরহানকে নিয়ে ঘরোয়া আয়োজনে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করেন তিনি। এ সময় ইনস্টাগ্রামে বোনের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে অমৃতা লেখেন—
“এত বছর ধরেই তোমার ৫০ হওয়ার গল্প, অবশেষে সত্যি তোমার ৫০ হলো, আমার সুন্দরী বোন!” আরেক পোস্টে অমৃতা লিখেন, “মাল্লা, অবশেষে তোমার ৫০ হলো। আহ! এর চেয়ে ভালো ৫০ বছরের কেউ হতে পারে নাকি! আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি, গত রাতটা ছিল একেবারে জাদুকরি।” এই পোস্টগুলোর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় তুমুল আলোচনা। এক রেডিট ব্যবহারকারী মজার ছলে লেখেন, “২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আপনি ৪৯ ও ৫০ তম জন্মদিন উদযাপন করছেন!”
আরেকজন লিখেছেন, “বয়স নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, তার তুলনায় সে দেখতে এখনো অসাধারণ।” তবে কেউ কেউ মজা করে আরও এগিয়ে লেখেন— “এক সাক্ষাৎকারে মালাইকা বলেছিলেন, আরবাজের চেয়ে দুই বছরের বড় তিনি। গুগল বলছে, আরবাজের বয়স ৫৮— তাহলে মালাইকার বয়স ৬০? ধুর! ৬০ বছর বয়সেও যদি এমন দেখতে পারি, আমি রাজি!” উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে বলিউড অভিনেতা আরবাজ খান-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মালাইকা আরোরা। দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ২০১৭ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। দম্পতির একটি পুত্রসন্তান রয়েছে, নাম আরহান খান। বর্তমানে মালাইকা একক জীবনযাপন করলেও তাঁর ফিটনেস, ফ্যাশন সেন্স ও ইতিবাচক মনোভাব এখনো তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা।