খুলনা আর্ট একাডেমি পরিদর্শনে ইসলাম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের এ.জি.এম নুননবী সরকার সুমন

মোঃ মিজানুর রহমান

ঢাকা থেকে আগত ইসলাম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এ.জি.এম) নুননবী সরকার সুমন বুধবার (৫ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় খুলনা আর্ট একাডেমি পরিদর্শন করেন। সফরসঙ্গীসহ তিনি একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং শিল্পচর্চা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

একাডেমির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস এবং শিশু শিল্পী সম্প্রীতি বিশ্বাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলাম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের এন.এস.এম সুব্রত বাড়ৈ, এ.সি.ও মোহাম্মদ হৃদয় মীর, আর.এস.এম মোকলেছুর রহমান ও ড্রাইভার মোঃ সুজন ইসলাম।

পরিদর্শনকালে অতিথিরা একাডেমির “সুখ–পুষ্প স্মৃতি ঐতিহ্য সংরক্ষণশালা” ঘুরে দেখেন। চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস অতিথিদের একাডেমির ইতিহাস, কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি জানান,

“২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত খুলনা আর্ট একাডেমি শুধু ছবি আঁকার প্রশিক্ষণই দেয় না, বরং সংগীত, আবৃত্তি, হাতের লেখা, চারুকলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সহায়ক কোর্সসহ শিশুদের সৃজনশীল বিকাশে কাজ করছে। পাশাপাশি সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে সমাজে মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।”

“বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ” 01612346119

তিনি আরও জানান, সংরক্ষণশালায় প্রায় ২০০ প্রকার প্রাচীন নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে, যেমন— কৃষকের ব্যবহৃত ‘টুপরি’, ঘরামি কাজে ব্যবহৃত কাঠ ছিদ্র করার ‘কূণ’, গ্রামীণ প্রদীপ রাখার ‘দেউরী’সহ বহু ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী। এর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস ও সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস চালানো হচ্ছে।

চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস জানান, ২০২৫ সালের ৭ মে তার জীবন ও কর্মজীবন নিয়ে যমুনা টেলিভিশন একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রচার করেছে। এজন্য তিনি যমুনা টিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান প্রবীর বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

অতিথিরা একাডেমির এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন,

“খুলনা আর্ট একাডেমির সংরক্ষণশালায় যে ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী দেখা গেল, তা নতুন প্রজন্মকে অতীতের সঙ্গে পরিচিত করবে এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
খুলনার সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই খুলনা আর্ট একাডেমির এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।
পরিদর্শনের শেষে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,

“আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা আমাদের শিল্পচর্চাকে এগিয়ে নিতে প্রেরণা জোগাবে। ভবিষ্যতেও সবাই আমাদের সঙ্গে থেকে শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রাখবেন— এই প্রত্যাশা করি।”

সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *