নিজস্ব প্রতিবেদক
গৌরনদী উপজেলার ৩৬ নং সুন্দরদী মৌজার জমি দখলকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি কিছু সংবাদ মাধ্যম যে খবর প্রকাশ করেছে, সে বিষয়ে আদালত স্বীকৃত ভুক্তভোগী মালিকপক্ষের পক্ষ থেকে লিখিত প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী মালিকপক্ষ জানায়, উক্ত জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে পূর্বেই রায় হয়েছে।
এ.সি মামলা নং ১৪/২০২১ অনুযায়ী বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে রায়ে উল্লেখ করেন যে, উক্ত জমিটির বৈধ মালিক ও দখলকারী হচ্ছেন মোঃ মোস্তফা মুন্সি।
বিবাদীপক্ষ জমির ওপর কোনো মালিকানা বা দখলের প্রমাণ দিতে পারেনি। মালিকপক্ষের অভিযোগ, আদালতের রায় বহাল থাকা সত্ত্বেও একটি পক্ষ কোনো অনুমতি ছাড়াই জমিতে অস্থায়ীভাবে মন্দিরের কাঠামো ও প্রতিমা স্থাপন করে। পরে রাতের মধ্যে ওই কাঠামো ও প্রতিমা নিজেরাই সরিয়ে ফেলে, যাতে পরদিন ঘটনাটিকে ‘মন্দির ভাঙা’ বলে উপস্থাপন করে ভুক্তভোগী মালিকপক্ষকে অভিযুক্ত করা যায়।
মালিকপক্ষ বলেন—
“আগে সেখানে কোনো মন্দির ছিল না। নিজেরাই স্থাপন করে আবার নিজেরাই সরিয়ে ঘটনা সাজানো হয়েছে।
উদ্দেশ্য ছিল আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ তৈরি করা।” মালিকপক্ষ আরও অভিযোগ করে যে, একজন স্থানীয় সাংবাদিক ঘটনাটিকে ধর্মীয় উত্তেজনার রূপ দিয়ে একতরফাভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছেন, যেখানে আদালতের রায়, জমির মালিকানা এবং স্থাপনার সরকারি অনুমতির বিষয়টি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তাদের মতে, এটি সাংবাদিকতার নৈতিক দায়িত্ব ও পেশাগত ক্ষমতার অপব্যবহার।

এছাড়া মালিকপক্ষ জানান, গৌরনদী মডেল থানায় কোনো প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে জমির খতিয়ান, নামজারি, রেকর্ড ও আদালতের রায় যাচাই করা ছিল জরুরি। ভুক্তভোগী মালিকপক্ষের দাবি আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা অনুমতি ছাড়া স্থাপনা স্থাপন ও রাতের মধ্যে অপসারণের বিষয়ে তদন্ত করা কোনো তদন্ত ছাড়া মামলা গ্রহণের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করা সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে তথ্য যাচাই ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন সংশোধন করা ঘটনাটিকে ধর্মীয় ইস্যু হিসেবে উপস্থাপন বন্ধ করা
মালিকপক্ষের মন্তব্য
“এটি ধর্মের বিরোধ নয়। এটি জমি দখলের উদ্দেশ্যে সাজানো পরিকল্পনা।
আমাদের কাছে আদালতের রায় ও জমির সকল বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।
01612346119