নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্রীষ্মকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে কিছু দিনের মধ্যে আসবে বলে জানিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। কৃষি উপদেষ্টা বলেন, “বাজারে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি হবে না, আর আমাদের পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন পড়বে না।” তিনি আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কিছু অসাধু গোষ্ঠী পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তবে তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে না। সরকারি উদ্যোগে পেঁয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে এবং বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে আমনের উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। এতে বড় ধরনের ফলনের আশা প্রকাশ করেন তিনি এবং বলেন, “আমনের ফলন এবার সন্তোষজনক, কৃষকরা ভালো ফলন পাবে।” এর পাশাপাশি তিনি আমনের চালের দামও নির্ধারণ করেছেন। গত মৌসুমের তুলনায় এবারের দাম কিছুটা বেশি হবে। এই বছর প্রতি কেজি আমন চালের দাম ৩৪ টাকা, আতপ চালের দাম ৪৯ টাকা এবং সিদ্ধ চালের দাম ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দামে কৃষকদের লাভের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, দাম নির্ধারণের ফলে বাজারে বিশৃঙ্খলা বা উচ্চমূল্য নির্ধারণের কোনো সুযোগ থাকবে না।
কৃষি উপদেষ্টা আরও জানিয়ে বলেন, এবারের সবজির উৎপাদনও অনেক ভালো হয়েছে। সবজির উৎপাদন এবং বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত এবং দামও সাধারণ কৃষক এবং ভোক্তা উভয়ের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে তিনি আলু চাষের প্রতি মনোযোগ দেন, কারণ এবারে আলু চাষিরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। আলুর দাম অত্যন্ত কম থাকায় তারা তেমন লাভ করতে পারেননি, যার ফলে চাষিরা এক ধরনের লোকসানের মধ্যে পড়েছেন। এই অবস্থায় আলু চাষিদের সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকার তাদের প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে, এমন আশ্বাসও তিনি দেন।
এছাড়া, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। চাষিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাজারে আরও নজরদারি বাড়ানো হবে এবং চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কৃষি খাতের উন্নয়ন ও কৃষকদের সহায়তা নিশ্চিত করতে চলতি বছর বিভিন্ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।

01612346119