
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান সুযোগ সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সিউলের ইপিএস (ইমিগ্রেন্ট প্রোফেশনাল স্কিম) এবং সিজনাল ওয়ার্কার স্কিমের প্রশংসা করেন, যা বাংলাদেশিদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তবে, তিনি মনে করেন যে এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে, বিশেষ করে কৃষি, প্রাণিসম্পদ, পরিচর্যা এবং সেবা খাতে। এই খাতগুলোতে বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে বাংলাদেশ-কোরিয়া শ্রম সহযোগিতা আরও দৃঢ় হতে পারে।
এদিন সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ডে উপলক্ষে সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়, অধ্যাপক আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ কোরিয়ার সাথে তার অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন সহযোগিতায় অত্যন্ত মূল্যায়ন করে এবং কোরিয়ার ভূমিকাকে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে দেখছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কোরিয়ায় কাজ করেছেন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে, যার মধ্যে ইপিএস ও সিজনাল স্কিম অন্তর্ভুক্ত।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কোরিয়ার সঙ্গে শ্রম সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য কিছু প্রস্তাব দেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল কর্মীদের পুনঃপ্রবেশের সময়সীমা ১০-১২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো, ইপিএস প্রোফাইলের মেয়াদ দুই বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা এবং শ্রমিকদের কল্যাণ পর্যবেক্ষণে যৌথ ডিজিটাল মনিটরিং চালু করা। তিনি আরও বলেন, ‘‘ন্যায্যতা বজায় রাখতে’’ বর্তমানে বিদ্যমান র্যান্ডম রেশিও পদ্ধতির পরিবর্তে ইপিএস প্রোফাইলের নিয়মিত এবং পদ্ধতিগত জমা নিশ্চিত করা উচিত। এছাড়া, তিনি কোরিয়ায় পরিচর্যা ও সেবা খাতে একটি পাইলট নিয়োগ কর্মসূচি চালুর আহ্বান জানান, যাতে আরও বাংলাদেশি কর্মী সেখানে নিয়োগ পেতে পারেন।
আসিফ নজরুল কোরিয়ার ইলেকট্রনিক্স, অবকাঠামো, জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে শক্তিশালী উপস্থিতি তুলে ধরে বলেন যে, বাংলাদেশে কোরিয়ার আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো উচিত, বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং স্মার্ট শিল্পে। তিনি কোরিয়ার সিজনাল ওয়ার্কার প্রোগ্রামের প্রশংসা করেন, যেটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রান্তিক যুবকদের জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কোরিয়ার সরকার ও জনগণকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘‘বিশ্বাস, উদ্ভাবন ও টেকসই অগ্রগতির’’ ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ঢাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকও বক্তব্য রাখেন। তিনি দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের প্রশংসা করেন এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রমগত গতিশীলতায় সহযোগিতা জোরদারের জন্য প্রস্তুতির কথা জানান। রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক কোরিয়ার বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার ব্যাপারে তার দেশের আগ্রহ এবং সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

m¤úv`K I cÖKvkK: G †K Gg gvndzRyi ingvb
cÖavb m¤úv`K: †gvt RvwKi
†nv‡mb
†hvMv‡hvM: 198 wm-eøK, iv‡qievM,
K`gZjx, XvKv- 1362|
†gvevBj: 01612346119,B‡gBj: dhaka24news.top@gmail.com
I‡qemvBU: dhaka24news.top, †dmeyK: https://www.facebook.com/DHAKA24NEWS.TOP/