জাতিসংঘের অভিযোগ প্রত্যাখান করে কপ৩০ সম্মেলনে নিরাপত্তা বাড়াল ব্রাজিল

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

কপ৩০ সম্মেলনের নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধানের উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করেছে ব্রাজিল। দেশটির দাবী, ভেন্যুর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব মূলত জাতিসংঘেরই।

মঙ্গলবার রাতে কয়েক ডজন আদিবাসীর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্রাজিলের নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের নির্বাহী সম্পাদক সাইমন স্টিয়েল। 

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার প্রধান সচিব এবং সম্মেলনের সভাপতি কূটনীতিক আন্দ্রে কোরেয়া দো লাগোকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লেখেন স্টিয়েল।ব্লুমবার্গ নিউজে চিঠিটি প্রকাশিত ওই চিঠিতে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের’ অভিযোগ আনা হয়।

“বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ” 01612346119

অরক্ষিত দরজা এবং অনুপ্রবেশ রোধে নিশ্চয়তার অভাব, পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা, আমাজনে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আলোকসজ্জায় সমস্যা তৈরি হওয়া এবং এয়ার কন্ডিশনারে ত্রুটির মত নিরাপত্তা ফাঁকফোকরের কথাও বলা হয়।

ব্রাজিল জবাবে এএফপিকে জানিয়েছে, ব্লু জোনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব ইউএনডিএসএস-এর (জাতিসংঘ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিভাগ) ওপর। কোন এলাকা কীভাবে সুরক্ষিত হবে সেটি তারাই নির্ধারণ করে।

দেশটি আরও জানিয়েছে, ফেডারেল ও প্যারা রাজ্যের কর্মকর্তারা ইউএনডিএসএস-এর সঙ্গে যৌথভাবে নিরাপত্তা পুনর্মূল্যায়ন করেছে। এরপরই নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, একটি বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে এবং আরও ব্যারিকেড দিয়ে ভেন্যুর আশপাশ এলাকার নিরাপত্তা শক্তিশালী করা হয়েছে।

কপ৩০ সম্মেলনের প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্দ্রে করেয়া জানান, এখন এটি আর কোনো সমস্যা নয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ইতোমধ্যেই সুরক্ষিত করা হয়েছে।

অবকাঠামোগত সমস্যা নিয়ে অভিযোগের জবাবে ব্রাজিলের জানায়, ভেন্যুটি প্লাবিত হয়নি, তবে কিছু স্থানে ড্রেনের পাইপের ফাটল দিয়ে পানি প্রবেশ করেছিল। এগুলো ইতোমধ্যেই মেরামত করা হয়েছে। অতিরিক্ত এয়ার কন্ডিশনার ইউনিটও স্থাপন করা হয়েছে।

আমাজনের একেবারে পাশেই মাঝারি আকারের শহর বেলেমের অবস্থান। শহরটি জলবায়ু সম্মেলনের ভেন্যু হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকেই বিতর্ক চলছে। কারণ সেখানে পর্যাপ্ত আবাসিক হোটেল নেই। আশংকা করা হয়, কয়েক হাজার অতিথিকে একসঙ্গে সেবা দিতে শহরটি আদৌ প্রস্তুত হবে কীনা তা নিয়ে।

তবে লুলা শুরু থেকেই বেলমে শহরে সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে আসছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বের নেতাদের আমাজনে আনা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এই বনাঞ্চলের টিকে থাকার সংগ্রাম এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *