নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে অতি-সতর্ক অবস্থায় আনা হয়েছে। জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আগামীকাল সোমবার ঘোষণা করার কথা থাকায় সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট এলাকা, ট্রাইব্যুনাল চত্বর ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, রায়ের দিন ডিএমপি, বিজিবি, এপিবিএন এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও সেনা সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের প্রবেশ মুখে এবং আশেপাশে মোতায়েন থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কে সাঁজোয়া যান রাখা হবে, যাতে কোনো ধরনের উত্তেজনা বা বিশৃঙ্খলা মুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রবিবার থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনের তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রায়ের দিন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি চলবে। এছাড়া, স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় পুলিশ সদস্যদেরও অতিরিক্ত টহল দেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে, যাতে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, রায়ের দিন প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রবেশ সীমিত করা হতে পারে। গণমাধ্যম কর্মীদেরও বিশেষ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আশেপাশের স্কুল, কলেজ ও সরকারি অফিসগুলোতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে নাগরিকদেরকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সতর্ক থাকার পাশাপাশি প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সর্বোপরি, ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার দিনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা একদিকে বিচার প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা নিশ্চিত করবে, অন্যদিকে রাজধানীর জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক হবে। প্রশাসন ইতিবাচক ও সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি প্রতিরোধের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
