সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চব্বিশের জুলাই–আগস্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ করা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে আনা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়।মামলার শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি ট্রাইব্যুনালকে জানান, অভ্যুত্থান চলাকালে দেশের প্রায় সব অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে যায় এবং ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে ছাত্রসমাজ চরম ভোগান্তির শিকার হয়। এর ফলে গণআন্দোলনের সময় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রসিকিউশন দাবি করে, এসব ঘটনার পেছনে পরিকল্পনা, নির্দেশনা এবং বাস্তবায়নে জড়িত ছিলেন জয় এবং পলক।

“বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ” 01612346119

আদেশ দেওয়ার আগে প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ জমা দেয়। চার্জশিটে বলা হয়, ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল পরিকল্পিত এবং তা গণআন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় পড়ে। এতে উল্লেখ করা হয়, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আহতদের চিকিৎসা, জরুরি উদ্ধার এবং গণহত্যা প্রতিরোধ কার্যক্রম ব্যাহত হয়, যা জনসাধারণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।

প্রসিকিউশন আরও জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী, ইন্টারনেট বন্ধ করার ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। এজন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়ায় এই অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে দেখে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিচার শুরুর জন্য যথেষ্ট। এ কারণে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় এবং পলকের ক্ষেত্রে সমন জারি করা হলেও জয়ের ক্ষেত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সেই দিন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করা হবে কিনা, তা নিয়ে শুনানি চালাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *