জাবি অধ্যাপক ডঃ মোঃ মনোয়ার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন

তাহের তারেক

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৫-এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন।

অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের

বন্যপ্রাণী বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা (ব্যক্তি পর্যায়) ক্যাটাগরিতে তাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। গত ১৮ জুন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অধ্যাপক মনোয়ার হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ড. মনোয়ার হোসেনের এ স্বীকৃতি বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ নিয়ে তার গবেষণার ফল। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। তার গবেষণা ও অবদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আরও উজ্জ্বল হয়েছে।

অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। তবে এ অর্জনের মাধ্যমে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার। আমাদের রিসোর্স সীমিত—এ সত্য; কিন্তু তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতিবছর আমরা প্রজাপতি মেলার আয়োজন করি, যা আমাদের কাজেরই একটি অংশ। পাশাপাশি আমরা বন্যপ্রাণীর জন্য একটি জিনব্যাংক তৈরির কাজ করছি, যেটি আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাব।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, জাতীয় পুরস্কারের জন্য এ বছর চারটি ক্যাটাগরিতে চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি শ্রেণির পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ২২ ক্যারেট মানের দুই ভরি (২৩.৩২ গ্রাম) স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার অ্যাকাউন্ট পে চেক এবং একটি সম্মাননা সনদ দেওয়া হবে।
অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন এর আগে জাতীয় পরিবেশ পদক (২০২৩) এবং চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক (২০২০) পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত তিনি ১২২টি বন্যপ্রাণীর ডিএনএ বারকোড তৈরি করে আন্তর্জাতিক জিনব্যাংকে জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রজাপতি, মৌমাছি, ফড়িংসহ নানা বন্যপ্রাণী নিয়ে গবেষণা ও সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছেন এবং যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামযের সময়সূচি