
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত্যুর পেছনে শারীরিক অসুস্থতার কারণ জানিয়েছে নিহতের স্বামী মিজানুর (৪০)। ১৯ জুলাই (শনিবার ) সকালে মিরপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে মিজানুর জানান, তার স্ত্রী ডলি খাতুন (৩৮) পিতা নফিল প্রামানিক দীর্ঘদিন যাবত মানসিক সমস্যা নিয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল আমরা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ডাক্তার দেখাইয়া চিকিৎসা করাইয়াছি কিন্তু সুস্ত হয়নি। ১৯-০৭-২০২৫ইং সকাল আনুমানিক ৭:০০ ঘটিকার সময় আমি আমার স্ত্রীর সহিত কথা বলিয়া আমি আমার কাজে বাহিরে বেরিয়ে যায়। একই তারিখে আনুমানিক সকাল ৮:০০ টার দিকে আমার মেয়ে মিশু (১১) আমার স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখতে পায় আমার স্ত্রী ঘরের ডাফের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিতেছে।তখন আমার মেয়ে ও বাড়ির লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করলে আমি এবং আশেপাশের লোকজন মিলিয়ে বাশের আড় দিয়ে দেখি আমার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করিয়াছে। আমার ধারণা আমার স্ত্রী মানসিক ভাবে শারীরিক অসুস্থতা হওয়ার কারণে একই তারিখে সকাল ৭:০০টা থেকে ৮:০০ মধ্যে যেকোনো সময় গলায় রশি দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
এই ঘটনায় ১৮ জুলাই সকাল ৮টার মধ্যে যে কোনো এক সময় গৃহবধূ ডলি খাতুনের মৃত্যু হয় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মিরপুর থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম (ওসি) জানান, “আমরা এজাহার পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে এলাকাজুড়ে এই ঘটনা নিয়ে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, ডলি ছিলেন সহজ-সরল স্বভাবের একজন গৃহবধূ। তার এমন করুণ মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
https://shorturl.fm/NJmxR