সেন্ট যোসেফ স্কুলের ৯ তলা ভবনের বেইজমেন্ট ঢালাই সম্পন্ন — আধুনিক শিক্ষাকাঠামোর পথে এক নতুন অধ্যায়

মো. ইব্রাহিম হোসেন

রাজধানীর মোহাম্মদপুর আসাদগেট সংলগ্ন সেন্ট যোসেফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নয় তলা বিশিষ্ট ভবনের বেইজমেন্ট ঢালাইয়ের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এই গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ পর্ব সম্পন্নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আধুনিক শিক্ষাকাঠামো নির্মাণের যাত্রা নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল।

নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, ভবনের বেইজমেন্ট ঢালাই ছিল পুরো প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর একটি। কারণ এই শক্তিশালী ভিত্তির ওপরই দাঁড়িয়ে থাকবে নয়তলা আধুনিক স্থাপনা, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। উন্নত প্রযুক্তি ও কঠোর মাননিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, যা ভবনটিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনশীল করে তুলবে বলে জানান তারা।

“বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ” 01612346119

সেন্ট যোসেফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল ব্রাদার চন্দন বেনেডিক্ট গমেজ বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত যে আমাদের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলছে। এই ভবনটি সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীরা আরও উন্নত ও আধুনিক পরিবেশে পড়াশোনার সুযোগ পাবে।” তিনি আরও বলেন, “এই প্রকল্পটি মোহাম্মদপুরসহ পুরো এলাকার শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”

এই সফলতা সেন্ট যোসেফ পরিবারের সদস্য, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও আনন্দের সঞ্চার করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—
সেন্ট যোসেফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল ব্রাদার বিকাশ ভিক্টোর ডি রোজারিও, ব্রাদার জেমস রিপন গমেজ (প্রাদেশিক, সেন্ট যোসেফ প্রদেশ বাংলাদেশ এবং এসএমসির চেয়ারম্যান), ফাদার কাজল যোয়াকিম পিউরিফিকেশন (ডিরেক্টর একাডেমিক শরিফুল আনোয়ার), মোঃ মোকলেছুর রহমান লিটন মাস্টার (প্রোপাইটর, লিটন মাষ্টার টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স), বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

উল্লেখ্য, এই নয় তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় গত ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার। উদ্বোধন করেন সেন্ট যোসেফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল ব্রাদার চন্দন বেনেডিক্ট গমেজ।

নতুন ভবনটি নির্মিত হলে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব, অডিটোরিয়াম ও শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি শুধু একটি ভবন নয়—বরং শিক্ষার মানোন্নয়নের এক বাস্তব প্রতীক হয়ে উঠবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *