শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর দাবী সমাবেশে ফখরুল উপস্থিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর ন্যায্য পানির অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত দলের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, এ পানি শুধু নদীর জন্য নয়, দেশের কৃষি, পরিবেশ ও কোটি মানুষের জীবিকার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই ন্যায্য পানি না পাওয়া জাতীয় অস্তিত্বের প্রশ্ন।

শনিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে পদ্মা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে সমন্বয় কমিটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। এতে শুকনো মৌসুমে পানি সংরক্ষণ করা যাবে এবং কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করতে পারবেন।

“বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ” 01612346119

তিনি আরও বলেন, সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য দেশের নদীগুলোকে রক্ষা করা এবং পদ্মাকে পুনরুজ্জীবিত করা। তার মতে, ভারতকে প্রতিবেশী ও বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশর প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। নদীর পানি আন্তর্জাতিক অধিকার, যা লঙ্ঘন হলে দুই দেশের সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী হারুনুর রশিদ। উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিঞা, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মো. মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী আমিনুল ইসলামসহ রাজশাহী অঞ্চলের অন্যান্য মনোনীত প্রার্থীরা। বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী, অঙ্গসংগঠনের সদস্য এবং স্থানীয় মানুষের ব্যানার–প্ল্যাকার্ড নিয়ে দলে দলে যোগদান সমাবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষিকে বাঁচাতে হলে পানিকে বাঁচাতে হবে, নদীকে বাঁচাতে হবে। এজন্য জাতীয় ঐক্য ছাড়া কোনো পথ নেই। জনগণ যদি বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, তাহলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার আদায়ে শক্ত অবস্থান নেওয়া হবে।

জামায়াতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের যেকোনো পরিকল্পনা জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। দেশের মানুষ এখন স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, কিন্তু ধর্মের নামে বিভ্রান্তির দিন শেষ।

গণসমাবেশে “চলো ভাই, হাড়ঘে পদ্মা বাঁচাই”, “পদ্মা বাঁচাতে ঐক্য গড়ি”, “আমাদের গঙ্গা-পদ্মা, আমাদের অধিকার”সহ নানা স্লোগানে现场 পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পদ্মার ন্যায্য পানির দাবিতে একাত্মতার শক্ত বার্তা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *