মিরপুরে নবনির্মিত মুক্তি তোরণ উদ্বোধন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুর ১০ থেকে মিরপুর-দুইগামী সড়কে নবনির্মিত ‘মুক্তি তোরণ’ উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। শনিবার দুপুরে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে তিনি তোরণটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ডিএনসিসি জানায়, ফ্যাসিবাদবিরোধী ‘জুলাই আন্দোলন’ এবং সে সময়ের আন্দোলনকারীদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামী চেতনার স্মৃতি ধরে রাখতেই এই তোরণ নির্মিত হয়েছে। তোরণটি শুধু একটি স্থাপত্য নয়, এটি মিরপুরবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার ইতিহাসকে তুলে ধরবে এবং নতুন প্রজন্মকে আন্দোলনের সেই গৌরবময় অধ্যায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।

এর আগে ৪ নভেম্বর আগারগাঁওয়ে বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ সড়ক এবং বাড্ডা বৌদ্ধ মন্দির এলাকার সামনে আরও দুটি স্মৃতিতোরণ উদ্বোধন করা হয়। এসব তোরণ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক চেতনার ইতিহাসকে দৃশ্যমান করে তুলতে ডিএনসিসির চলমান উদ্যোগের অংশ।

“বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ” 01612346119

উদ্বোধন শেষে প্রশাসক এজাজ বলেন, “মুক্তি তোরণ মিরপুরের সংগ্রামী মানুষের আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে থাকবে। জুলাই আন্দোলনে যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, এই তোরণ তাদের বীরত্ব ও সংগ্রামের স্মৃতি আগামী প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেবে।” তিনি আরও বলেন, শহরের ইতিহাস সংরক্ষণ ও মানুষের গণতান্ত্রিক চেতনাকে জাগ্রত রাখতে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

উদ্বোধন শেষে তিনি মিরপুর এলাকায় চলমান অবৈধ ব্যানার–ফেস্টুন উচ্ছেদ অভিযানও পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবৈধ বিজ্ঞাপন সরাতে বারবার অনুরোধ করা হলেও অনেকেই তা মানেননি। তাই এখন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। এজাজ বলেন, “অবৈধ ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে জরিমানা শুরু হয়েছে। এখন থেকে আর অনুরোধ নয়, নিয়ম ভাঙলে সরাসরি আর্থিক জরিমানা করা হবে।”

পরিদর্শন শেষে প্রশাসক ৬০ ফিট সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি জানান, “আগামী বিজয় দিবসের আগেই আমরা সড়কটি জনসাধারণের জন্য খুলে দিতে পারব বলে আশা করছি। দীর্ঘ ১৭ বছর দখলমুক্ত করে জনগণের জন্য সড়কটি উন্মুক্ত করতে পারায় আমরা আনন্দিত।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দীন, অঞ্চল–২–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তিনি সবার উদ্দেশে নগর পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক রাখতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *