নিজস্ব প্রতিবেদক
দিনভর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ এবং ভাঙচুরের মধ্যে ধানমন্ডি ৩২-এর নিয়ন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসেছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি এমনভাবে শান্ত দেখায়। এর আগে রাত ৯.৪৮ মিনিটের দিকে সড়কের একটি অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।
বিক্ষুব্ধ জনতা ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।রাত ৯টার আগে আন্দোলনকারীরা ধানমন্ডি ৩২ সংলগ্ন বনলতা পয়েন্টের সামনে মিরপুর রোড অবরোধ করেছিলেন। সন্ধ্যার পর তাদের একটি বড় অংশ ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। তবে শতাধিক লোক এখনও সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছিল।
রাত সোয়া ৯টার দিকে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ পাওয়া গেছে। তবে তার পরে আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে শুরু করেছিলেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যায়। দুপুরের দিকে তারা দুটি এক্সক্যাভেটর নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এক্সক্যাভেটরগুলো ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির অবশিষ্ট অংশ ভাঙার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তারা বুলডোজার নিয়ে বাড়ির সামনে যেতে পারেননি। এ নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যার পর পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুরো ঘটনাটি জনসচেতনতার পাশাপাশি নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চরম চাপের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। পুলিশের তৎপরতা, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে নেওয়া পদক্ষেপের কারণে রাতের দিকে এলাকায় শান্তি ফিরে আসে।
এ ঘটনায় কোনো বড় ধরনের প্রাণহানি না হওয়ায় এবং অব্যাহত হিংসা বন্ধ হওয়ার কারণে স্থানীয়রা এখন কিছুটা স্বস্তি বোধ করছেন। পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী এলাকার পরিস্থিতি মনিটর করতে রাতভর অবস্থান রাখে।

01612346119