মানুষের অধিকার আদায়ে আলেম সমাজের অবদান অনস্বীকার্য : আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের চলমান ক্রান্তিলগ্নে মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতিটি বাঁকে আলেম সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্বে তারা যেভাবে সাহসিকতা এবং প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন, তা জাতির সামনে এক উজ্জ্বল উদাহরণ। আলেম সমাজকে উপেক্ষা করে কিংবা তাদের বাস্তব অবদানকে অবজ্ঞা করে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি কখনো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বুধবার রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কে অনুষ্ঠিত জামেয়া ইসলামিয়া দারুল হক্ব মাদ্রাসা কর্তৃক আয়োজিত ইফতা ও হিফজ সমাপনকারী শিক্ষার্থীদের দস্তারবন্দী উপলক্ষে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

“বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ” 01612346119

তিনি বলেন, যারা কোরআন, সুন্নাহ ও দ্বীনের খেদমতে সারাজীবন নিবেদিত, তাদেরকে বাদ দিয়ে সমাজ বা রাষ্ট্রের উন্নয়ন টেকসই হতে পারে না। যেকোনো সামাজিক, নৈতিক কিংবা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আলেমদের পরামর্শ ও নেতৃত্ব বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জাতির নৈতিকতা রক্ষায়, সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠায় এবং তরুণ প্রজন্মকে কুরআনমুখী করতে আলেম সমাজ সবসময় এগিয়ে থাকে, যা দেশের জন্য বড় সম্পদ।

উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্বেরাত সম্মেলন আয়োজন করলে মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার চর্চা বাড়বে, তরুণদের মধ্যে কুরআনের প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি হবে এবং সমাজে সুশিক্ষা ও নৈতিকতার পরিবেশ তৈরি হবে। তিনি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিকায়ন ও সহায়তার বিষয়েও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।

হাজারীবাগ এলাকার সার্বিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, এখানে রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পরিবেশগত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সমন্বয় করে উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি স্থানীয় জনগণ, আলেম সমাজ ও তরুণদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ইফতা ও হিফজ সমাপনকারী শিক্ষার্থীদের পাগড়ি পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত আলেম মাওলানা তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী।

আন্তর্জাতিক এই ক্বেরাত সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান ক্বারীগণ অংশ নেন। এর মধ্যে ছিলেন দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্বারী শায়েখ আহমেদ বিন ইউসুফ আজহারী, ইরানের ক্বারী মাহদি গোলাম নেযাদ, মিশরের ক্বারী শেখ আহমেদ আল-জাহরি, ফিলিপাইনের ক্বারী নাজীর আসগর এবং পাকিস্তানের ক্বারী আনোয়ারুল হাসান শাহ বুখারী।

আধ্যাত্মিক পরিবেশ, ক্বেরাতের সুর ও শিক্ষার্থীদের দস্তারবন্দীর মুহূর্ত পুরো অনুষ্ঠানে দারুণ আবহ সৃষ্টি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *