
মোঃ হাফিজুর রহমান
গাজীপুর কাপাসিয়ার আনারস বাগানে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে নানান মানুষ, তাদের মতে এই আনারস খেতে প্রচুর মিষ্টি। আনারস বাগানের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন আমরা প্রতিবছর লাভের সাথে আনারস বিক্রি করি সরাসরি জমি থেকে। গাজীপুরের কাপাসিয়া ও আশেপাশের অঞ্চলে আনারসের বাম্পার ফলনে কৃষকেরা হাসিমুখে কাজ করছেন। সম্প্রতি তাঙাইলের মধুপুর ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় “হানি কুইন” এবং “জায়ান্ট কিউ” জাতের আনারসের ফলন বাড়ছে, যার ফলে চাষিরা ভালো দাম পেয়ে খুশি।

ঢাকার বৃহত্তম হোলসেল মার্কেটগুলোর মধ্যে মধুপুরের জলছত্রা ও গরোবাজার আনারস কিনে নেওয়া হচ্ছে রাজ্যজুড়ে, বিভিন্ন এলাকায় থেকে ট্রাকভর্তি আনারস যাচ্ছে
এ বছর ফলনের পরিমাণ ও দাম দুইই উভয়ই বেড়েছে: স্বাভাবিক আনারস বিক্রি হচ্ছে ২৫–৬০ টাকা টুকরাভিত্তিক, যা গত বছর ১৫–৪৫ টাকা ছিল। উন্নত আবহাওয়া ও চাষ প্রযুক্তির কারণে মধুপুরে প্রতি একর থেকে ১৩,০০০ প্লাস ফলন হতে পারে । বেলাভূমির চরাঞ্চলে কাপাসিয়া ও শ্রীপুরে স্ট্রবেরি চাষও জনপ্রিয়তায় বাড়ছে, তবে এখানকার আনারস চাষ পুষ্টিমূল্য ও লাভজনকতায় কৃষকদের মুখে হাসি আনার কারণ হয়ে আছে। একই সময়ে কাপাসিয়ার সরিষা ও মোলাস তৈরির কাজগুলোর সাফল্য বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা যোগ করছে।