পুনঃগণনায় চেয়ার মার্কায় কাজল মাজমাদারের ভোট বেড়ে ৪

কুষ্টিয়া পৌর বিএনপি নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ

কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের সভাপতি পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে চেয়ার মার্কার প্রার্থী মোঃ আক্তারুজ্জামান কাজল মাজমাদারের ভোট পুনরায় গণনায় ৪টি ভোট বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন উঠেছে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।

নির্বাচনের প্রথম দফা গণনায় ঘোষিত ফলাফলে চেয়ার মার্কার প্রার্থী কাজল মাজমাদার প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছাকাছি ভোট পেলেও জয় নিশ্চিত হয়নি। কিন্তু প্রার্থী ও তার সমর্থকরা ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ নিয়ে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পুনঃগণনার পর দেখা যায়, কাজল মাজমাদারের ভোট ৪টি বেড়ে যায়। এই ঘটনা নির্বাচনে ভোট গরমিল, গোপন কারচুপি ও ফলাফল প্রভাবিত করার আশঙ্কা জোরালো করেছে।
চেয়ার মার্কার সমর্থক ও কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করেছেন, ভোট গ্রহণ ও গণনার পুরো প্রক্রিয়াতেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব স্পষ্ট ছিল।
“যদি গণনায় ভুল না থাকত, তবে কেন পুনরায় গণনায় ৪টি ভোট বেড়ে যায়? এটা প্রমাণ করে, প্রথম গণনায় ইচ্ছাকৃতভাবে ফল পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে।
মোঃ আক্তারুজ্জামান কাজল মাজমাদার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন –
এই নির্বাচন গণতন্ত্র ও নেতৃত্বের লড়াই। সেখানে কারচুপি ও অনিয়ম গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আমাদের আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবহিত করব।”

ভোটের ফল প্রকাশের পর বিএনপির অভ্যন্তরে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নেতাকর্মীরা জানান, এই ধরনের নির্বাচনী অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না এবং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এই ঘটনায় শুধু কুষ্টিয়া নয়, সারা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির অন্তর্নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রশ্ন নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে। এখন দেখার বিষয়, নির্বাচন কমিশন কতটা আন্তরিকভাবে বিষয়টি আমলে নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামযের সময়সূচি